Panthumai And Bisnakandi Tour | Sylhet Tour
পাংথুমাই ও বিছানাকান্দি:
পাংথুমাই সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিমজাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। গ্রামটি মেঘালয় পর্বত শ্রেনীর পূর্ব খাসিয়া হিলসের কোলে। ছিমছাম, ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামটির অন্যতম আকর্ষন হচ্ছে বিশাল ‘বড়হিল’ ঝর্ণা। যদিও ঝর্ণাটি ভৌগলিকভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু একেবারে সামনাসামনি দাঁড়িয়েই এর উপচে পড়া সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। ঝর্নার নীচ থেকে বয়ে চলা পিয়াইন এর একটি শাখা নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহমান। এই নদী ধরে আরেকটি পর্যটক গন্তব্য বিছনাকান্দি যাওয়া যায়।
পাংথুমাই যেতে হলে প্রথমে আসতে হবে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে। সিলেট থেকে জাফলং রোড ধরে সারীঘাট( ৪২ কিমি) পৌঁছে হাতের বামদিকে ১৬ কিমি গেলেই গোয়াইনঘাট পয়েন্ট থেকে ডানে রাস্তা চলে গেছে উপজেলা অফিসে, বামের রাস্তা সিলেট এয়ারপোর্টের দিকে। বামের রাস্তায় এক কিমির মতো এগুলে গোয়াইনঘাট কলেজ। কলেজের পাশ দিয়ে পূর্বদিকে সরু রাস্তা ধরে ১২ কিমি এর মতো এগিয়ে গেলেই পাংথুমাই গ্রাম। এর আগে মাতুরতল বাজার। গ্রামের ভেতর পর্যন্ত পাকা রাস্তা। গাড়ী থেকে নেমে হাতের বামে গেলেই দৃশ্যমান- অপূর্ব সেই জলপ্রপাত।
ঝর্না ছাড়াও গোয়াইনঘাট-পাংথুমাই পথটি ও আকর্ষনীয়। পূর্ব দিকে এগুতে এগুতে বিশাল পাহাড় ক্রমশঃ কাছে এগিয়ে আসতে থাকে। নীল থেকে ক্রমশঃ সবুজ হয়ে উঠে, এর মধ্যে মাঝেমাঝেই মেঘ ও ঝর্ণার লুকোচুরি।
পাংথুমাই ভ্রমনের উপযুক্ত সময় এপ্রিল থেকে মধ্য অক্টোবর।
পর্যটকরা চাইলে লালাখাল ও পাংথুমাই একদিনে ভ্রমন করতে পারেন। সকাল বেলা গাড়ী নিয়ে লালাখাল পৌঁছে , নৌকা নিয়ে জিরোপয়েন্ট, চা বাগান ঘুরে রিভারকুইনে দুপুরের খাবার শেষে চলে আসতে পারেন পাংথুমাই। লালাখাল থেকে গাড়ী নিয়ে পাঙ্ঘতুমাই পৌঁছতে সময় লাগবে সর্ব্বোচ্চ একঘন্টা তিরিশ মিনিট। বিকেলটা ঝর্ণার নীচে কাটিয়ে সন্ধ্যার মুখে ফিরতে পারেন শহরে। সিলেট পৌঁছতে সময় লাগবে ঘন্টা দুয়েক।
লালাখাল ও পাংথুমাই মিলে ৬-৮ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৫৫০০ - ৬০০০ টাকার মধ্যে। ৯-১২ জন বহনকারী মাইক্রো ভাড়া হতে পারে ৬৫০০ - ৭,৫০০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার হলে আরেকটু বেশী ও হতে পারে।
No comments