Beautiful KEPZ Road at Anowara - Chittagong
কেইপিজেডের সড়ক।
কেইপিজেডের প্রধান সড়ক। সিমেন্টের ব্লক বসানো এত সুন্দর রাস্তা বাংলাদেশে আর কোথাও দেখিনি। রাস্তার দুই পাশে নারকেল গাছের সারি। যেন সবুজের স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করছি। হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগোতেই আমাদের সামনে নতুন বিস্ময় নিয়ে উপস্থিত হলো স্বচ্ছ, শান্ত জলরাশির হ্রদ। পরিষ্কার নীল আকাশে দু-একটি সাদা মেঘ।
কেইপিজেডের প্রধান সড়ক। সিমেন্টের ব্লক বসানো এত সুন্দর রাস্তা বাংলাদেশে আর কোথাও দেখিনি। রাস্তার দুই পাশে নারকেল গাছের সারি। যেন সবুজের স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করছি। হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগোতেই আমাদের সামনে নতুন বিস্ময় নিয়ে উপস্থিত হলো স্বচ্ছ, শান্ত জলরাশির হ্রদ। পরিষ্কার নীল আকাশে দু-একটি সাদা মেঘ।
শেষ শীতের সূর্য মৃদু তাপ ছড়াচ্ছে মাথার ওপর আর আমরা ১২ জন হাঁটছি কেইপিজেডের অন্য প্রান্তের উদ্দেশ্যে। ভেতরে ইপিজেডের নিজস্ব গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশের সুযোগ নেই, তাই হাঁটাই ইপিজেড দেখার একমাত্র উপায়। কিন্তু আমাদের জানা ছিল না ঠিক কতটুকু হাঁটলে অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যাবে।
![]() |
Jhalmurybd.blogspot |
ততক্ষণে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে ফেলেছি। ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে ক্লান্তির ছায়া পড়তে শুরু করেছে। দেখা পেলাম ইপিজেড গলফ কোর্সের। সাজানো-গোছানো গলফ কোর্সে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেয়া আর রেস্ট রুম থেকে পানি খেয়ে কিছুটা সতেজ হয়ে আবার অনিশ্চিত যাত্রা। মাঝে মাঝে দু-একটি
![]() |
jhalmurybd.blogspot |
নির্মাণকাজ চলছে। এছাড়া পুরো এলাকা সুনসান, জনশূন্য। বান্ধবীদের অবস্থা ততক্ষণে সঙ্গিন। কারো পায়ে ফোসকা পড়ে গেছে, কেউ কান্না শুরু করেছে। বসে, থেমে, ছবি তুলে, আড্ডা দিতে দিতে ৩ ঘণ্টা পার করে কেইপিজেডের অন্য প্রান্তে প্রধান সড়কে পৌঁছালাম। ততক্ষণে আমাদেরকে হাঁটতে হয়েছে সাত কিলোমিটার। কিছুটা ক্লান্তি আর কিছুটা অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাডভেঞ্চার মিলিয়ে মিশ্র অনুভূতি হচ্ছিল। বাসে উঠে বটতলী বাজারে পৌঁছে পেটপুজোয় মনোনিবেশ করলাম।
No comments